মোবাইল ফোন কেনার প্রসঙ্গ যখন আসে, তখন চোখের সামনে ভেসে ওঠে পছন্দ করার মত অগণিত সব ব্র্যান্ডের নাম। ইদানীং আকর্ষণীয় সব ফিচার আর স্পেসিফিকেশনের ভিড়ে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য ব্র্যান্ডগুলোকে সব সময় সেরা প্রযুক্তি আর ডিজাইন নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। বর্তমানে আকর্ষণীয় ডিজাইন আর স্পেসিফিকেশন নিয়ে মার্কেট কাঁপানো অন্যতম দারুণ এক ব্র্যান্ড হচ্ছে অপ্পো। চাইনিজ গ্রাহকদের অন্যতম পছন্দের এই ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি বর্তমানে আমাদের দেশের টেক-মার্কেটেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তাদের তালিকায় রয়েছে নানা রকম বৈশিষ্ট্যময় শত শত স্মার্টফোনের সংগ্রহ, যেগুলো তরুণ থেকে শুরু করে ভিন্ন ভিন্ন প্রজন্মের মানুষের মনে ও জীবনে জায়গা করে নিয়েছে। ব্যবহারে যেমন সহজ, তেমনি মানুষের স্বাচ্ছন্দ্য মত কাস্টমাইজড বেশ কিছু দারুণ অপশন থাকায় এই ডিভাইসগুলো সত্যিই অন্যান্য অনেক মডেলের তুলনায় বেশ আলাদা হয়ে উঠেছে। আজকাল কিছু দিন পর পরই অপ্পো কোনও না কোনো নতুন মোবাইল ফোন রিলিজ করছে। কিন্তু এগুলোর মধ্যে কিছু কিছু স্পেশাল মডেল রয়েছে, যেগুলোতে তারা অবিশ্বাস্য রকম দামে অফার করছে যুগান্তকারী সব স্পেসিফিকেশন!

এখানে আমাদের উল্লেখ করা সবগুলো দাম আনুমানিক কিংবা আন-অফিশিয়াল, বিক্রেতা ভেদে এই দামে কিছুটা তারতম্য হতে পারে।

অপ্পো এ৫ (২০২০)

অপ্পো এ৫ (২০২০)

অপ্পোর পক্ষ থেকে আসা এই ফোনটি একদমই নতুন। এতে রয়েছে একটি মসৃণ চকচকে ব্যাক কভার ফিনিশ সহ একটি দুর্দান্ত নচ-স্ক্রিন ডিসপ্লে, যা দর্শকের নজর কাড়তে বাধ্য। ফোনটির গড়ন মজবুত ও শক্ত ধাঁচের হওয়ার পাশাপাশি এর ডিজাইনটিও বেশ স্লিক ও স্টাইলিশ। বাকিদের থেকে এই ফোনটি আলাদা হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে এর হালকা ওজনের ডিজাইন আর অসাধারণ ব্যাটারি লাইফের সুবিধা। যারা মাল্টি-টাস্কিং করতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য এর অক্টা কোর প্রসেসরটি আদর্শ। আর সাথে তো এক্সটেন্ডেড স্টোরেজ যোগ করার সুবিধা থাকছেই!

ফোনটির পূর্ণ স্পেসিফিকেশনঃ

বিবরণ
বডির সাইজ ১৬৩.৬ x ৭৫.৪ x ৯.১ মিমি (৬.৪৪ x ২.৯৭ x ০.৩৬ ইঞ্চি)
বডির ওজন ১৯৫ গ্রাম
সিম নেটওয়ার্ক ডুয়াল সিম (ন্যানো সিম, ডুয়াল স্ট্যান্ড বাই)
ডিসপ্লের ধরণ আইপিএস এলসিডি ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন, ১৬ মিলিয়ন কালারস
ডিসপ্লে সাইজ ৬.৫ ইঞ্চি, ১০২.০ বর্গ সেমি (~ ৮২.৭% স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও)
ডিসপ্লে রেজ্যুলেশন ৭২০ x ১৬০০ পিক্সেল, ২০:৯ রেশিও
অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) অ্যান্ড্রয়েড
ওএস ভার্সন ৯.০ (পাই)
ইউজার ইন্টারফেস (ইউআই) কালার ওএস ৬.১
সিপিইউ অক্টা কোর (৪x ২.০ গিগাহার্জ ক্রায়ো ২৬০ গোল্ড এবং ৪x ১.৮ গিগাহার্জ ক্রায়ো ২৬০ সিলভার)
জিপিইউ অ্যাড্রেনো ৬১০
চিপসেট কোয়ালকম এসডিএম৬৬৫ স্ন্যাপড্রাগন ৬৬৫ (১১ ন্যানোমিটার)
অভ্যন্তরীণ মেমোরি ৬৪ জিবি, ১২৮ জিবি
বাহ্যিক মেমোরি মাইক্রো এসডি, ২৫৬ জিবি পর্যন্ত (ডেডিকেটেড স্লট)
র‍্যাম ৩ জিবি, ৪ জিবি
প্রাইমারি ক্যামেরা কোয়াডঃ ১২ মেগাপিক্সেল (ওয়াইড);
৮ মেগাপিক্সেল (আলট্রা ওয়াইড);২ মেগাপিক্সেল;
২ মেগাপিক্সেল (ডেপথ সেন্সর)
সেকেন্ডারি ক্যামেরা ৮ মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি টাইপ নন-রিমুভাবল লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি
ব্যাটারি ক্যাপাসিটি ৫০০০ এমএএইচ
দাম বাংলাদেশে মাত্র ১৬,৯৯০ টাকা

এখানে একটা ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে; এই ফোনটিতে কিন্তু বাজারের সেরা ক্যামেরা লেন্স দেয়া হয়নি। অনেকের কাছেই এটা বেশ হতাশার একটা বিষয়, কিন্তু তবুও আপনার কাছে যদি ক্যামেরার স্পেসিফিকেশন তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ না হয়, তাহলে হয়ত এই মোবাইলটিই আপনার জন্য সেরা পছন্দ হতে পারে!

অপ্পো এ৭

অপ্পো এ৭

এই সিরিজের পরবর্তী বিশেষ প্রতিযোগী হচ্ছে অপ্পো এ৭। যে ধরণের ফিচার এই ফোনটি আপনার অফার করছে, সেই তুলনায় এর দামটা তুলনামূলক বেশ বাজেট সাশ্রয়ী। এই ফোনটি এখনো মার্কেটে আসতে পারেনি, কিন্তু ইতিমধ্যে একে নিয়ে নানা রকম উত্তেজনা শুরু হয়ে গেছে। এর নচ-স্ক্রিন ডিসপ্লেটি ৬.২ ইঞ্চির হওয়ার ফোনটি হাতে চালানো বেশ স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং দেখতেও বেশ নান্দনিক। ফোনটির অক্টা কোর প্রসেসরের সাথে যোগ হওয়া ভালো ব্যাটারি লাইফ আপনাকে ব্যস্ততম দিনগুলোতেও দিতে পারবে বিরাট সাপোর্ট! সাশ্রয়ী দাম, আর তার সাথে নজরকাড়া সব স্পেসিফিকেশনের সমন্বয়ে এই ফোনটি আপনার জীবনের সেরা ডিলগুলোর একটি হয়ে উঠতে পারে!

পূর্ণ স্পেসিফিকেশন গুলো নিচে তুলে ধরা হলোঃ

বিবরণ
বডির সাইজ ১৫৫.৯ x ৭৫.৪ x ৮.১ মিমি (৬.১৪ x ২.৯৭ x ০.৩২ ইঞ্চি)
বডির ওজন ১৫৮ গ্রাম
ডিসপ্লের ধরণ আইপিএস এলসিডি ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন, ১৬ মিলিয়ন কালারস
ডিসপ্লে সাইজ ৬.২ ইঞ্চি
ডিসপ্লে রেজ্যুলেশন ৭২০ x ১৫২০ পিক্সেল
অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) অ্যান্ড্রয়েড
ওএস ভার্সন ৮.০ (ওরিয়ো)
সিপিইউ অক্টা কোর, ১.৮ গিগাহার্জ কর্টেক্স- এ৫৩
জিপিইউ অ্যাড্রেনো ৫০৬
চিপসেট কোয়ালকম এসডিএম৪৫০ স্ন্যাপড্রাগন ৪৫০ (১৪ ন্যানোমিটার)
অভ্যন্তরীণ মেমোরি ৩২ জিবি
বাহ্যিক মেমোরি মাইক্রো এসডি, ২৫৬ জিবি পর্যন্ত (ডেডিকেটেড স্লট)
র‍্যাম ৩ জিবি/ ৪ জিবি
প্রাইমারি ক্যামেরা ডুয়াল ১৩ মেগাপিক্সেল, এফ/২.২, অটোফোকাস;
২ মেগাপিক্সেল, এফ/২.৪ ডেপথ সেন্সর
সেকেন্ডারি ক্যামেরা ১৬ মেগাপিক্সেল, এফ/২.০
ব্যাটারি টাইপ নন-রিমুভাবল লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি
ব্যাটারি ক্যাপাসিটি ৪২৩০ এমএএইচ
দাম বাংলাদেশে মাত্র ২৩,৯০০ টাকা

অপ্পো এ৯ (২০২০)

অপ্পো এ৯ (২০২০)

অপ্পোর আরো একটি এ সিরিজের ফোনের কথা এখানে না বললেই নয়! প্রফেশনাল মানের ক্যামেরা এবং দুর্দান্ত ব্যাটারি লাইফ ফিচার করা অপ্পো এ৯ টেক জগতে এক বিশেষ খ্যাতি অর্জন করে নিয়েছে। এছাড়াও এর ৮ মেগাপিক্সেল আলট্রা ওয়াইড লেন্সের উল্লেখযোগ্য ফিচার ও ১৬ মেগাপিক্সেল সেকেন্ডারি ক্যামেরার কথা আর আলাদা করে কি বলবো? এক কথায় সেলফি তোলার জন্য একদম পারফেক্ট! ফোনটির ব্যাক কভার ডিজাইন একে বাকিদের থেকে বেশ আলাদা করে তুলেছে এবং ফোনটি সত্যিই গ্রাহকদের নজর কাড়তে বাধ্য।

এবার চলুন দেখে নিই ফোনটির পূর্ণ স্পেসিফিকেশনঃ

বিবরণ
বডির সাইজ ১৬৩.৬ x ৭৫.৬ x ৯.১ মিমি (৬.৪৪ x ২.৯৮ x ০.৩৬ ইঞ্চি)
বডির ওজন ১৯৫ গ্রাম
ডিসপ্লের ধরণ আইপিএস এলসিডি ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন, ১৬ মিলিয়ন কালারস
ডিসপ্লে সাইজ ৬.৫ ইঞ্চি, ১০২.০ বর্গ সেমি (~ ৮২.৫% স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও)
ডিসপ্লে রেজ্যুলেশন ৭২০ x ১৬০০ পিক্সেল, ২০:৯ রেশিও
অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) অ্যান্ড্রয়েড
ওএস ভার্সন ৯.০ (পাই)
সিপিইউ অক্টা কোর (৪x ২.০ গিগাহার্জ ক্রায়ো ২৬০ গোল্ড এবং ৪x ১.৮ গিগাহার্জ ক্রায়ো ২৬০ সিলভার)
জিপিইউ অ্যাড্রেনো ৬১০
চিপসেট কোয়ালকম এসডিএম৬৬৫ স্ন্যাপড্রাগন ৬৬৫
অভ্যন্তরীণ মেমোরি ১২৮ জিবি
বাহ্যিক মেমোরি মাইক্রো এসডি, ২৫৬ জিবি পর্যন্ত (ডেডিকেটেড স্লট)
র‍্যাম ৪ জিবি, ৮ জিবি
প্রাইমারি ক্যামেরা কোয়াডঃ ৪৮ মেগাপিক্সেল;
৮ মেগাপিক্সেল (আলট্রা ওয়াইড);২ মেগাপিক্সেল;
২ মেগাপিক্সেল (ডেপথ সেন্সর)
সেকেন্ডারি ক্যামেরা ১৬ মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি টাইপ নন-রিমুভাবল লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি
ব্যাটারি ক্যাপাসিটি ৫০০০ এমএএইচ
দাম বাংলাদেশে মাত্র ২২,৯৯০ টাকা

ফোনটির প্রাইমারি ক্যামেরায় ৪৮ মেগাপিক্সেল লেন্স থাকায় যে কেউ এতে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারের মত ছবি তোলার অনুভব পাবেন! লো লাইটের জন্য ফোনটির ব্যাক ক্যামেরা দারুণ, এমনকি রাতের বেলায়ও এই ক্যামেরায় ফটোগ্রাফি করার স্বাচ্ছন্দ্য অতুলনীয়।

অপ্পো রেনো

অপ্পো রেনো

এবার আসা যাক অপ্পোর রেনো সিরিজের ফোনগুলোতে। এই কোম্পানির ব্যয়বহুল স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে অপ্পো রেনো অন্যতম। কিন্তু এর সবচেয়ে ভালো একটা দিক হচ্ছে যে, রেনো ফোনটিতে রয়েছে দারুণ সব ফিচারের সমাহার। প্রশ্নাতীত অসাধারণ ক্যামেরা কোয়ালিটির পাশাপাশি, এই ফোনটি তার মারাত্মক স্টোরেজ ক্যাপাসিটির জন্যও বিখ্যাত। রেনোর ৬.৪ ইঞ্চি ডিসপ্লের কারণে ফোনটিকে দেখে বেশ হৃষ্টপুষ্ট মনে হলেও এটা বেশ মজবুত ও টেকসই একটা ফোন।

ফোনটির পূর্ণ স্পেসিফিকেশন নিম্নরূপঃ

বিবরণ
বডির সাইজ ১৫৬.৬ x ৭৪.৩ x ৯ মিমি (৬.১৭ x ২.৯৩ x ০.৩৫ ইঞ্চি)
বডির ওজন ১৮৫ গ্রাম
ডিসপ্লের ধরণ অ্যামোলেড ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন, ১৬ মিলিয়ন কালারস
ডিসপ্লে সাইজ ৬.৪ ইঞ্চি, ১০১.০ বর্গ সেমি (~ ৮৬.৮% স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও)
ডিসপ্লে রেজ্যুলেশন ১০৮০ x ২৩৪০ পিক্সেল, ১৯.৫:৯ রেশিও
অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) অ্যান্ড্রয়েড
ওএস ভার্সন ৯.০ (পাই)
সিপিইউ অক্টা কোর (২x ২.২ গিগাহার্জ ক্রায়ো ৩৬০ গোল্ড এবং ৬x ১.৭ গিগাহার্জ ক্রায়ো ৩৬০ সিলভার)
জিপিইউ অ্যাড্রেনো ৬১৬
চিপসেট কোয়ালকম এসডিএম৭১০ স্ন্যাপড্রাগন ৭১০
অভ্যন্তরীণ মেমোরি ১২৮ জিবি, ২৫৬ জিবি
বাহ্যিক মেমোরি নেই
র‍্যাম ৬ জিবি, ৮ জিবি
প্রাইমারি ক্যামেরা ডুয়ালঃ ৪৮ মেগাপিক্সেল, এফ/১.৭, ১/২.০;
৫ মেগাপিক্সেল, এফ/২.৪ ডেপথ সেন্সর
সেকেন্ডারি ক্যামেরা মোটরাইজড পপ-আপ ১৬ মেগাপিক্সেল, এফ/২.০, ২৬ মিমি (ওয়াইড)
ব্যাটারি টাইপ নন-রিমুভাবল লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি
ব্যাটারি ক্যাপাসিটি ৩৭৬৫ এমএএইচ ব্যাটারি
দাম বাংলাদেশে মাত্র ৪০,০০০ টাকা

এই ফোনটির ব্যাটারি লাইফ ততটা অসাধারণ না হলেও বাকিদের থেকে এই ফোনটিকে সম্পূর্ণ আলাদা করে তোলে এর দারুণ ক্যামেরা অপশন। একই সাথে ফ্রন্ট ক্যামেরা হিসেবে মোটরাইজড পপ-আপ ক্যামেরা তো আছেই।

অপ্পো রেনো ১০এক্স জুম

অপ্পো রেনো ১০এক্স জুম

অপ্পোর রেনো সিরিজের ফোনগুলোর মধ্যে ভক্তদের অন্যতম সেরা পছন্দের স্মার্টফোন হচ্ছে অপ্পো রেনো ১০এক্স জুম। এই ফোনটির ট্রিপল লেন্স ৪৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ১৩ মেগাপিক্সেল পেরিস্কোপ এবং ৮ মেগাপিক্সেল আলট্রা ওয়াইড লেন্সের দারুণ কম্বিনেশন ফটোগ্রাফি পাগল গ্রাহকদের জন্য এক কথায় সেরা পছন্দ। তার উপর এর স্টোরেজ ক্যাপাসিটিও অসামান্য! ১২৮ জিবি থেকে শুরু হওয়া স্টোরেজ সাইজ সেইসব গ্রাহকদের টানবে, যারা মেমোরি কার্ড তেমন একটা ব্যবহার করতে চান না। আর এর ৬ জিবি র‍্যাম আপনাদেরকে ফোনটির সম্পূর্ণ মেয়াদকাল ধরে দ্রুততম সাপোর্ট দেয়ার নিশ্চয়তা দেয়।

ফোনটির পূর্ণ স্পেসিফিকেশন নিম্নরূপঃ

বিবরণ
বডির সাইজ ১৬২ x ৭৭.২ x ৯.৩ মিমি (৬.৩৮ x ৩.০৪ x ০.৩৭ ইঞ্চি)
বডির ওজন ২১০ গ্রাম
ডিসপ্লের ধরণ অ্যামোলেড ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন, ১৬ মিলিয়ন কালারস
ডিসপ্লে সাইজ ৬.৬ ইঞ্চি, ১০৮.৬ বর্গ সেমি (~ ৮৬.৮% স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও)
ডিসপ্লে রেজ্যুলেশন ১০৮০ x ২৩৪০ পিক্সেল, ১৯.৫:৯ রেশিও
অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) অ্যান্ড্রয়েড
ওএস ভার্সন ৯.০ (পাই)
সিপিইউ অক্টা কোর (১x ২.৮৪ গিগাহার্জ ক্রায়ো ৪৮৫, ৩x ২.৪২ গিগাহার্জ ক্রায়ো ৪৮৫ এবং ৪x ১.৮ গিগাহার্জ ক্রায়ো ৪৮৫)
জিপিইউ অ্যাড্রেনো ৬৪০
চিপসেট কোয়ালকম এসডিএম৮৫৫ স্ন্যাপড্রাগন ৮৫৫
অভ্যন্তরীণ মেমোরি ১২৮ জিবি, ২৫৬ জিবি
বাহ্যিক মেমোরি মাইক্রো এসডি, ২৫৬ জিবি পর্যন্ত (সিম ২ স্লটটির জায়গায়)
র‍্যাম ৬ জিবি, ৮ জিবি
প্রাইমারি ক্যামেরা ট্রিপলঃ ৪৮ মেগাপিক্সেল;
পেরিস্কোপ ১৩ মেগাপিক্সেল;৮ মেগাপিক্সেল (আলট্রা ওয়াইড);
সেকেন্ডারি ক্যামেরা মোটরাইজড পপ-আপ ১৬ মেগাপিক্সেল, এফ/২.০, ২৬ মিমি (ওয়াইড)
ব্যাটারি টাইপ নন-রিমুভাবল লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি
ব্যাটারি ক্যাপাসিটি ৪০৬৫ এমএএইচ ব্যাটারি
দাম বাংলাদেশে মাত্র ৭৯,৯৯০ টাকা

এই মডেলের পপ-আপ ফ্রন্ট ক্যামেরা ফোনটির সামগ্রিক লুকস-এ এক অনন্য আবেদন সৃষ্টি করেছে। বয়স আর লিঙ্গভেদে সকল গ্রাহকদের কাছে এর ডিজাইনটিও বেশ আকর্ষণের ব্যাপার হয়ে উঠতে পারে। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন যে অপ্পো রেনো ১০এক্স জুম তুলনামূলক বেশ ভারি ওজনের একটি ফোন। তাই আপনার পছন্দ যদি আরেকটু হালকা কোনো ফোন হয়, তাহলে আমাদের আজকের তালিকায় আবারো একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন।

অপ্পো এফ১১ প্রো

অপ্পো এফ১১ প্রো

অপ্পোর এফ১১ সিরিজে রয়েছে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে এক রেঞ্জ দারুণ স্মার্টফোনের সমারোহ। গত বছরই এই ফোনগুলো প্রথম বাজারে আসে, আর এদের পারফরম্যান্স দেখে মনে হচ্ছে এ বছরও তারা তাদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারবে। অপ্পোর এই সিরিজের একটি দারুণ ফোন হচ্ছে এফ১১ প্রো। এর মোটরাইজড পপ-আপ সেলফি ক্যামেরা এবং ৪৮ মেগাপিক্সেল ব্যাক ক্যামেরা ফোনটিকে বাকি প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে অনেক বেশি আলাদা করে তুলেছে। এছাড়াও প্রাইমারি ক্যামেরা হিসেবে এর ৪৮ মেগাপিক্সেল লেন্সটি ফটোগ্রাফি পাগল কিংবা অন্তত উঠতি ফটোগ্রাফারদের জন্য একদম পারফেক্ট। এছাড়াও ফোনটি যেসব আকর্ষণীয় উজ্বল কালার অপশনে পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলোর কথা আর আলাদা করে না বললেও চলে!

চলুন এক নজরে দেখে নিই ফোনটির পূর্ণ স্পেসিফিকেশনঃ

বিবরণ
বডির সাইজ ১৬১.৩ x ৭৬.১ x ৮.৮ মিমি (৬.৩৫ x ৩.০০ x ০.৩৫ ইঞ্চি)
বডির ওজন ১৯০ গ্রাম
ডিসপ্লের ধরণ এলটিপিএস আইপিএস এলসিডি ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন, ১৬ মিলিয়ন কালারস
ডিসপ্লে সাইজ ৬.৫৩ ইঞ্চি, ১০৩.৬ বর্গ সেমি (~ ৮৪.৪% স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও)
ডিসপ্লে রেজ্যুলেশন ১০৮০ x ২৩৪০ পিক্সেল, ১৯.৫:৯ রেশিও
অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) অ্যান্ড্রয়েড
ওএস ভার্সন ৯.০ (পাই)
সিপিইউ অক্টা কোর (৪x ২.১ গিগাহার্জ কর্টেক্স- এ৭৩ এবং ৪x ২.০ গিগাহার্জ কর্টেক্স- এ৫৩)
জিপিইউ মালি- জি৭২ এমপি৩
চিপসেট মিডিয়াটেক হিলিও পি৭০
অভ্যন্তরীণ মেমোরি ৬৪ জিবি, ১২৮ জিবি
বাহ্যিক মেমোরি মাইক্রো এসডি, ২৫৬ জিবি পর্যন্ত (সিম ২ স্লটটির জায়গায়)
র‍্যাম ৪ জিবি, ৬ জিবি
প্রাইমারি ক্যামেরা ডুয়ালঃ ৪৮ মেগাপিক্সেল, এফ/১.৮, ১/২;
৫ মেগাপিক্সেল, এফ/২.৪, ১/৫
সেকেন্ডারি ক্যামেরা মোটরাইজড পপ-আপ ১৬ মেগাপিক্সেল, এফ/২.০, ১/৩.১
ব্যাটারি টাইপ নন-রিমুভাবল লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি
ব্যাটারি ক্যাপাসিটি ৪০০০ এমএএইচ ব্যাটারি
দাম বাংলাদেশে মাত্র ৩৬,৯৯০ টাকা

যদিও এই ডিভাইসটিকে এর চিপসেটের জন্য অনেকেই কিছুটা সমালোচনা করেছেন, তারপরও পারফরম্যান্সের দিক থেকে ফোনটি মানুষকে মোটেও হতাশ করে নি। কিন্তু আবার আপনি যদি প্ল্যাটফর্মের স্পেসিফিকেশন নিয়ে কিছুটা খুঁতখুঁতে হন, তাহলে হয়ত আপনার জন্য অন্য কোনো ফোন দেখাই ভালো হবে।

অপ্পো এ১কে

অপ্পো এ১কে

খুব স্বাভাবিকভাবেই একটা ফোনের পেছনে অনেক বেশি টাকা খরচ করার মত সামর্থ্য সবার থাকে না। তাই আমরা অপ্পোর স্মার্টফোন সিরিজ থেকে আপনাদের জন্য এমন একটি ফোন বাছাই করেছি, যা বাজেটের মধ্যে একজন ক্রেতার চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে। অপ্পো এ১কে -এর ৬.১ ইঞ্চি ডিসপ্লে এই ফোনটির জন্য একটি দারুণ সাইজ। একই সাথে যুক্ত হয়েছে একটি প্লাস্টিক বডি এবং হালকা ওজন। এর অক্টা কোর প্রসেসরটি নিশ্চিত করে যেন ফোনটির জীবদ্দশায় আপনাদের কখনও ল্যাগিং এর শিকার না হতে হয়, এবং পুরোটা সময় ভালো পারফরম্যান্স দিতে পারে।

চলুন এক নজরে দেখে নিই ফোনটির পূর্ণ স্পেসিফিকেশনঃ

বিবরণ
বডির সাইজ ১৫৪.৫ x ৭৩.৮ x ৮.৪ মিমি (৬.০৮ x ২.৯১ x ০.৩৩ ইঞ্চি)
বডির ওজন ১৭০ গ্রাম
ডিসপ্লের ধরণ আইপিএস এলসিডি ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন, ১৬ মিলিয়ন কালারস
ডিসপ্লে সাইজ ৬.১ ইঞ্চি, ৯১.৩ বর্গ সেমি (~ ৮০.১% স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও)
ডিসপ্লে রেজ্যুলেশন ৭২০ x ১৫৬০ পিক্সেল, ১৯.৫:৯ রেশিও
অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) অ্যান্ড্রয়েড
ওএস ভার্সন ৯.০ (পাই)
ইউজার ইন্টারফেস (ইউআই) কালার ওএস ৬.০
সিপিইউ অক্টা কোর ২.০ গিগাহার্জ কর্টেক্স- এ৫৩
জিপিইউ পাওয়ার ভিআর জিই৮৩২০
চিপসেট মিডিয়াটেক এমটি৬৭৬২ হিলিও পি২২ (১২ ন্যানোমিটার)
অভ্যন্তরীণ মেমোরি ৩২ জিবি
বাহ্যিক মেমোরি মাইক্রো এসডি, ২৫৬ জিবি পর্যন্ত (ডেডিকেটেড স্লট)
র‍্যাম ২ জিবি
প্রাইমারি ক্যামেরা ৮ মেগাপিক্সেল
সেকেন্ডারি ক্যামেরা ৫ মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি টাইপ নন-রিমুভাবল লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি
ব্যাটারি ক্যাপাসিটি ৪০০০ এমএএইচ
দাম বাংলাদেশে মাত্র ৯,৯৯০ টাকা

কোনও রকম কাজ চালিয়ে নিতে চান কিংবা স্পেসিফিকেশনের ব্যাপারে খুব বেশি মাথাব্যাথা নেই, এমন মানুষের জন্য এই বাজেট বান্ধব ডিভাইসটি দারুণ একটি অপশন। তবুও এই ডিভাইসটির ক্যামেরা কোয়ালিটি যে খুব একটা অসাধারণ নয় এই বিষয়টিও মাথায় রাখা ভালো।

শেষকথা

সব মিলিয়ে অপ্পোর সংগ্রহে রয়েছে আমাদের জন্য বেশ কিছু দারুণ লেটেস্ট ডিভাইস, আর সেগুলোর দামও যথেষ্ট ভালো। আমাদের আজকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা মোবাইল ফোনগুলোতে যেমন ব্যাপক সুবিধার দিক রয়েছে, তেমনি কিছু ছোটখাটো অপ্রাপ্তিও রয়েছে। আর তাই কেনার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অবশ্যই সবগুলো দিক ভালোভাবে বিবেচনা করে নিতে হবে। আরও দেখে নিন ২০২০ সালের আসন্ন ফ্ল্যাগশিপ মোবাইল ফোনগুলো। আপনার পরবর্তী মোবাইল ফোনটির খোঁজ চালানোর সংগ্রামে আশা করি আমরা আজ একটু হলেও সাহায্য করতে পেরেছি।

শপিং হোক আনন্দের!

গ্রাহকদের নিয়মিত কিছু প্রশ্নের উত্তর:

  • এই মোবাইল ফোনগুলো কোথায় কিনতে পারবো?

বাংলাদেশে অপ্পোর অনেক গুলো শোরুম রয়েছে, যাদের মধ্যে বেশির ভাগই অনুমোদন প্রাপ্ত বিক্রেতাও।

  • এগুলো কি অনলাইন থেকে নেয়া সম্ভব?

Amarbusiness24.com – আপনারা  সরাসরি ফোনের স্পেসিফিকেশনের ব্যাপারে আলাপ করতে পারবেন। এছাড়াও এখানে থেকে দেখে নিন লেটেস্ট অপ্পো মোবাইলগুলোর দাম

  • এই ফোনগুলোর উপর কোনও রকম ডিসকাউন্ট কিংবা অফার পাওয়া যাবে কি?

নির্দিষ্ট কিছু ডেবিট/ ক্রেডিট কার্ডের জন্য ডিসকাউন্ট অফার পেতে পারেন। কিন্তু প্রত্যেকটি শপ বা আউটলেটের ক্ষেত্রে এই ডিসকাউন্ট বা অফারের ধরণ আলাদা।

  • এই ফোনগুলোর স্পেসিফিকেশন কি কাস্টমাইজ করে নেয়া যায়?

বর্তমান প্রযুক্তির যে কোন স্মার্টফোনের অভ্যন্তরীণ বা অন্তর্নিহিত স্পেসিফিকেশন, যেমন র‍্যাম কিংবা স্টোরেজ ইত্যাদি বিল্ট-ইন ভাবে দেয়া থাকে। আর সচরাচর এগুলোকে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তবে, বাহ্যিক ফিচার, যেমন ফোন কভার কাস্টমাইজ করা সম্ভব।

Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *