ছাত্রছাত্রী, কর্মজীবী বা গৃহিণী, অনেকেই শখের বশে কমবেশি লেখালেখি করতে পছন্দ করে থাকে। আপনি কি জানেন, অনলাইনে লেখালেখি করে আয় করা যায় ?

অনলাইনে লেখালেখি করে ইনকাম বা কন্টেন্ট রাইটিং করে বাংলাদেশে অনেকেই আয় করছেন। ইন্টারনেটে অর্থ উপার্জন করার একটি জনপ্রিয় উপায় হল লেখালেখি করা।

এটি শুধু মিডিয়া জগতেই নয়, যারা লেখালেখি করে অর্থ উপার্জন করতে চান, তাদের জন্য একটা শুভ সংবাদ। লেখকেরা অনলাইনে লিখে লেখার প্রাপ্য টাকা তারা পাবে।

অনলাইনে আয় করার অন্যতম সহজ ও সম্ভাবনাময় উপায় হল লেখালেখি, যেটিকে আমরা আর্টিকেল রাইটিং বা কনটেন্ট রাইটিং বলে থাকি।

কনটেন্ট রাইটার হতে হলে কী কী যোগ্যতা লাগে

যে কেউই কনটেন্ট রাইটার হতে পারেন। কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কোনো প্রতিষ্ঠানে পূর্ণকালীন চাকরি করতে চাইলে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হতে পারে। তবে কন্ট্রিবিউটর হিসেবে বা অনলাইনে কাজ করার ক্ষেত্রে তেমন কোনো ডিগ্রির প্রয়োজন নেই। লেখার ভালো হাত থাকলে যেকোনো ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেই ভালো কনটেন্ট রাইটার হওয়া সম্ভব। ভাষাগত দক্ষতা ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে যে কেউই স্বাধীন আয়ের উৎস হিসেবে বিভিন্ন কনটেন্ট লিখতে পারেন।

কনটেন্ট রাইটিং কী কী ধরনের হতে পারে

বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের প্রয়োজনে বিভিন্ন কনটেন্ট রাইটিংয়ের কাজ দিয়ে থাকেন। কনটেন্ট রাইটিংয়ের কাজ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। তার মধ্যে কিছু ধরন হলো ওয়েবসাইট কনটেন্ট রাইটিং, ব্লগ রাইটিং, ই-বুক রাইটিং, নিউজ কনটেন্ট রাইটিং, এসইও কনটেন্ট রাইটিং, অ্যাফিলিয়েট কনটেন্ট রাইটিং, পণ্যের রিভিউ লেখা, পণ্যের বর্ণনা লেখা, একাডেমিক কনটেন্ট রাইটিং, সিভি রাইটিং, ট্রান্সক্রিপশন রাইটিং, গবেষণার কাজ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন ও ব্রশিউর রাইটিং ইত্যাদি। তা ছাড়া রি-রাইটিং, প্রুফরিডিং ও এডিটিংয়ের কাজও করা যায়।

পেশা হিসেবে কনটেন্ট রাইটিং

কনটেন্ট রাইটিং থেকে প্রতি মাসে কত টাকা আয় করা সম্ভব, তা নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। দেশের পত্রিকা ও ম্যাগাজিনের জন্য আর্টিকেল লিখলে প্রতিটি লেখা ছাপা হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্মানী পাওয়া যায়। অন্যদিকে বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মাধ্যমের উল্লেখযোগ্য প্রসারের কারণে প্রয়োজন পড়ছে অধিক সংখ্যক অনলাইন কনটেন্টের। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ করলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একেকটি কাজ জমা দিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার আয় করা সম্ভব। অনলাইনে কাজ করার ক্ষেত্রে শুরুর দিকে উচিত কম পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ভালো মানের কাজ প্রদান করে সেবাগ্রহীতার থেকে ভালো মন্তব্য আদায় করে নেওয়া। তবে প্রথমেই পূর্ণ পেশা হিসেবে কনটেন্ট রাইটিংয়ের আয়ের ওপর নির্ভর না করে পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজের পাশাপাশি লেখালেখির কাজটি চালিয়ে যাওয়া উচিত। অভিজ্ঞতা ও কাজের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ভালো মানের কাজের বিপরীতে পারিশ্রমিকও বেশি পাওয়া যাবে। তখন কনটেন্ট রাইটিংকে পূর্ণ পেশা হিসেবে নেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে।

ভালো কনটেন্ট তৈরির উপায়

কাজ পাওয়ার পর প্রথমেই বুঝে নিতে হবে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য কী উদ্দেশ্যে আপনি কনটেন্ট তৈরি করছেন। কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে আপনি আপনার মেধা দিয়ে ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন।

● বিভিন্ন ভালো কনটেন্ট পড়ে একটি সামগ্রিক ধারণা তৈরি করা

● অন্যের কনটেন্ট কপি-পেস্ট না করে স্বতন্ত্র কনটেন্ট তৈরি করা

● বানান, ব্যাকরণ ও বাক্যের গঠনের দিকে খেয়াল রাখা

● নিশ্চিত না হয়ে অনুমানের ভিত্তিতে কোনো তথ্য না দেওয়া

● নির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে তথ্যসূত্র উল্লেখ করা

● অনেক বড় প্যারাগ্রাফ না লিখে একেকটি বিষয়ের জন্য একেকটি ছোট প্যারাগ্রাফ তৈরি করা

● যথাযথ কি–ওয়ার্ড ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করা

● নিয়মিত চর্চা করা

আমার বিজনেস২৪ ডট কম  এ কন্টেন্ট রাইটার  হিসেবে কাজ করতে পারেন ।  এছাড়া মাইন্ডজার এ কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারেন।

সবশেষে একটি কথাই বলব, কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ শুরু করার আগে এখানে যেসব কনটেন্ট/আর্টিকেল পাবলিশ হচ্ছে, সেগুলো ভালমতো পড়ুন, দেখুন, এবং বুঝুন যে কেমন এসব আর্টিকেলের স্টাইল, কী ফরম্যাটে অন্যরা এখানে কী লিখছে, কোন বিষয়ের আর্টিকেল বেশি সোশ্যাল শেয়ারিং হচ্ছে, কোন কন্টেন্টের পেজে ভিজিটরেরা বেশি কমেন্ট করছেন ইত্যাদি বিষয়। আর যেহেতু একটি ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন পোস্ট আপডেট হচ্ছে, তাই এ কাজের চাহিদা কখনই কমবে না, বরং বাড়বে।

Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *