It is not a trying business, it’s a doing business.
এ ব্যবসা নিজে ১০০% বুঝে অন্যকে ১০০% বুঝাতে হবে। আংশিক শিখে নৌকা চালানো যায় কিন্তু প্লেন চালানো যায় না। যেকারণে এর অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য্যগুলোকে আবিষ্কার করতে হবে, যা আপনার ব্যবসায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। নিচে প্রচলিত মার্কেটিং এর তুলনায় নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ যেসব সুবিধা বিদ্যমান, তা দেখানো হল। যেমন:
১. কাজ নাই টাকা নাই চাকুরী বা ব্যবসার ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোন ব্যক্তি যদি অফিসে না যান বা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না খোলেন তবে তার কোন আয় হয় না। অথচ, নেটওয়ার্ক মার্কেটিংএ একটা নির্দিষ্ট সময় (২/৩ মাস) পর তিনি প্রত্যক্ষভাবে কাজ না করলেও টাকা পেতে থাকেন। এজন্য এ
পদ্ধতি গতানুগতিক ধারা অপেক্ষা উন্নতমানের।
২. দ্রুত গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি সাধারণ মার্কেটিং সিস্টেমে আমরা লক্ষ করি, সদস্য বা কাস্টমারের সংখ্যা বাড়ে ১,
২, ৩, ৪ ইত্যাদি ডেসিমাল পদ্ধতিতে। অথচ, এখানে সবাই মিলে নিজ নিজ স্বার্থে যেহেতু কাজ করতে থাকে, তাই সংখ্যা বাড়ে ২, ৪, ৮, ১৬, ৩২ ইত্যাদি জ্যামিতিক হারে। আপনি যদি চাঁদে যেতে চান তবে প্রতিদিন ২ কিঃমিঃ করে গেলে ৭০ হাজার বছর সময় লাগবে। কিন্তু যদি এভাবে যান- যেমন, ১ম দিনে ২ কিঃমিঃ, ২য় দিন ৪, তার পরের দিন ৮ এভাবে ১৫, ৩২, ৬৪ কিঃমিঃ, তবে ৪৯ দিনে চাঁদে পৌঁছে যাবেন এবং ৪৮তম দিনে অর্ধেক পথ চলে যাবেন এবং শেষের দিনেই বাকী অর্ধেক পথ চলে যাবেন। এটাই হচ্ছে এমএলএম এর বৈশিষ্ট্য।
৩. অনধিক বিনিয়োগ প্রচলিত পদ্ধতিতে আপনি যদি কোন ব্যবসা শুরু করতে চান, যা থেকে মাসে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা আয় হবে, তবে আপনাকে ন্যূনতম ১৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে এবং লাভ শুরু হবে ৩১তম মাস থেকে। এছাড়া, ১ বছর শ্রম দিলে লাভের দিকে যাবেন। এরপর যদি লাভজনক না হয় তবে, তা অর্ধেক মূল্যে বিক্রয় করতে হবে এবং সেখানেও আপনাকে মার্কেটিং করতে হবে।
৪. ব্যবসায়িক ঝুকি মানুষের জীবনটাই একটা ঝুকি। অর্থনীতিতে বলা হয়, মুনাফা ঝুঁকি বহনের পুরষ্কার। আবার, No risk no gain, so risk so gain. সুতরাং, সনাতন পদ্ধতিতে যেখানে তীব্র ঝুঁকি বিদ্যমান সেখানে এই পদ্ধতিতে ঝুঁকি নেই বললেই চলে। আপনি জয়েন করার সাথে সাথেই পাচ্ছেন কোম্পানি প্রদত্ত পণ্য/সেবা সুবিধা। এছাড়াও রয়েছে, ওয়ার্কশপ, ট্রেনিং, মোটিভেশনসহ আত্নউন্নয়নের যথেষ্ট সুযোগ। ডিস্ট্রিবিউটর বানাতে না পারলেও সার্ভিস পাচ্ছেন তাই এখানে ঝুঁকি নেই বললেই চলে।
৫. অবচয় মূল্য যে কোন জিনিস ব্যবহারের ফলে সময়ের ভিত্তিতে তার মূল্য কমে যায়, যাকে অবচয় মূল্য বলে। ধরুন, আপনি ৩০ হাজার টাকা
দিয়ে একটি কম্পিউটার কিনলেন, ছয়মাস পর বিক্রি করতে গেলে তার দাল ১৫ হাজার টাকা। তাহলে বাকী ১৫ হাজার টাকা হচ্ছে অবচয় মূল্য। যেটা সাধারণ পদ্ধতিতে প্রযোজ্য। কিন্তু, আপনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ যে টাকাটা বিনিয়োগ করছেন, তার কোন অবচয় মূল্য নেই। কারণ, আপনি যদি শ্রম ও মেধার সমন্বয় ঘটাতে পারেন, তবে আপনার বিনিয়োগকৃত টাকার পন্য প্রোমোশন সহ লাভবান হতে পারেন । তাই বলা যায়, সাধারণ পদ্ধতিতে যেখানে বিনিয়োগের ফেসভ্যাল্যূ নিম্নগামী, নেটওয়ার্ক সিস্টেমে সেখানে সর্বদা উর্দ্ধগামী।
৬. কাজের সময় কমে, কিন্তু আয়ের পরিমাণ বাড়ে ধরুন, প্রথমদিকে ডিস্ট্রিবিউটর হওয়ার পর আপনি সময় দিতেন সপ্তাহে ১০/১২ ঘন্টা এবং আপনার আয় ছিল সপ্তাহে এক/দেড় হাজার টাকা। আর এখন (৪/৫ মাস পর) সপ্তাহে সময় দেন ২/৩ ঘন্টা এবং টাকা পান ২০/৩০ হাজার, যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ পদ্ধতি এমন যে,
১ম পর্যায় কাজ কাজ কাজ কাজ কাজ
২য় পর্যায় কাজ কাজ টাকা
৩য় পর্যায় আয় আয়
৭. রেসিডিউয়াল বা অবশিষ্ট আয় পৃথিবীতে আয় সাধারণতঃ দুই ধরনের। যথাঃ ক) লিনিয়ার আয় এবং খ) রেসিডিউয়াল বা রয়্যালটি আয়। লিনিয়ার আয়ঃ আমরা সাধারণঃ চাকরি- বাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিভিন্ন স্বনিয়োজিত পেশা ইত্যাদির মাধ্যমে যা আয় করি, তা এই জাতীয় আয়ের পর্যায়ে পড়ে। রেসিডিউয়াল বা রয়্যালটি আয় কোন ব্যক্তি তার মেধা বা শ্রম দিয়ে কোন Quality Work নির্দিষ্ট সময় ধরে করার পর যদি একবার প্রতিষ্ঠিত করেন এবং সারাজীবন নিরবচ্ছিন্ন ভাবে সেখান থেকে নিশ্চিত আয় পেয়ে থাকেন তাকে রয়্যালটি আয় বলে। যেখানে থাকবেনা কোন অনিশ্চয়তার ছোঁয়া। পৃথিবীতে খুব কম লোকই আছেন যারা এই রেসিডিউয়াল আয়ের অধিকারী। যেমন, একজন রাইটার একটা বই লিখলেন, সেটা যতবার ছাপানো হবে ততবার তাকে টাকা দিতে হবে। এটাই রেসিডিউয়াল বা রয়্যালটি আয়। যদি চান
রয়্যালটি থাকতে হবে কোয়ালিটি।।
আমরা রাতারাতি কবি-সাহিত্যিকদের মতো অসাধারণ মেধাবী হতে পারিনা ঠিকই, তবে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং এ যোগ দিয়ে সতেজ চারা গাছ (এসোসিয়েটস ) রোপণ করে তাকে মহীরুহে পরিণত করে আজীবন ফল খেতে পারি। লিনিয়ার ইনকাম
অনেকটা ধান বা পাট চাষের মতো যেখানে বারবার পরিশ্রম করতে হয়। অন্যদিকে রেসিডিউয়াল বা রয়্যালটি ইনকামকে অনেকটা আম বা কাঠাল চাষের সাথে তুলনা করা যায়, যেখানে একবার গাছ লাগিয়ে দীর্ঘদিন ফল খাওয়া যায়। বর্তমানে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং
রয়্যালটি ইনকামের বিশ্বব্যাপী সহজলভ্য, শক্তিশালী একটি মাধ্যম। কারণ, কর্মজীবনে কোন কারণে যদি (আল্লাহ্ না করুক) আপনার ব্যবসার সাটারটা বন্ধ হয়ে যায় বা যেকোন কারণে আপনার চাকুরীটা যদি না থাকে তবে আপনার পরিবারের অবস্থাটা কী হবে? রিটায়ারমেন্টের পর
সাধারণত আগে লোকে পুরানো ধার-দেনা পরিশোধ করে, ডাক্তার খরচ করে, তারপর মেয়ের বিয়ে দেয়। অবশিষ্ট দিয়ে সাদামাটা মাথাগোজার মতো ছোট একটা বাড়ি করে। এরপর ফ্যামিলিকে আর দিতে পারেনা। সারাজীবন ধরে ছায়া দেয়া বৃক্ষটি হয়ে যায় বৃদ্ধ বোঝা। চা কচেতেই
গিন্নি ঝাটকা মেরে বলে ‘দুধ নেই’। মনে পড়ে ‘আজ আমার যদি একটা অবলম্বন থাকতো’। এটাই আমাদের অধিকাংশের নির্মম বাস্তবতা। টিভির বিজ্ঞাপনে যা প্রতিনিয়ত দেখা যায়। কিন্তু নেটওয়ার্ক মার্কেটিং আপনার সারাজীবনের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার সাথে মৃত্যূর পরও পরিবারকে আয় দিবে, যার জন্য জীবনবীমার মত বারবার প্রিমিয়াম (টাকা) দিতে হবে না। দুই ধরনের আয়ের
মধ্যে নিম্নলিখিত পার্থক্য বিদ্যমান; যেমন— প্রচলিত পদ্ধতি/ লিনিয়ার আয় নেটওয়ার্ক মার্কেটিং পদ্ধতি/রয়্যালটি আয় রুটিনমাফিক (৯টা-৫টা) সময় দিতে হয়। সুবিধামতো/অবসর সময় দেওয়া যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। কোন পূর্ব-অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই।
সাধারণত লিমিটেড ইনকাম হয়। সাধারণত আনলিমিটেড ইনকাম হয়।
একবার পণ্য কিনে একবার ব্যবসা করা যায়। একবার পণ্য কিনে বহুবার ব্যবসা করা যায়। অন্যকে সহযোগিতা করার সুযোগ থাকে না। অন্যকে সহগোগিতা করার সুযোগ থাকে। অহস্তান্তরযোগ্য। আপনার পরিবর্তে আপনার ছোট ভাই চাকরি করতে পারবে না।
হস্তান্তরযোগ্য। আপনার পরিবর্তে মনোনীত যে কেউ কাজ করতে পারবে।
এখানে দীর্ঘদিন কাজ করার পর (৬৫ বছরে) বৃদ্ধ বয়সে অবসরে যেতে পারবেন। এখানে
২-৫ বছরের মধ্যেই আপনি ইচ্ছা করলেই অবসরে যেতে পারবেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই (সরকারী চাকরি
ছাড়া) পরিবারের ভবিষ্যত নিশ্চিত থাকে না। গ্রাহকের মৃত্যূর পরও পরিবারের জন্য
আর্থিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা থাকে। এ আয়কে বাধ্যতামূলকভাবে প্রাধান্য দিতে
হয়। যেকোন ইনকামের সাথে চালানো যায়।
Sony/Rangs এর ডিলারশিপ নিয়ে শুধু ঐ নির্দিষ্ট এলাকায় ১টি পণ্যের ব্যবসা করতে পারবেন। দেশের যেকোন স্থানে অসংখ্য
পণ্য নিয়ে কাজ করা যায়। এখানে, ‘Hit others to succeed.’ এতে, Help others to succeed. সেল শেষ আর ব্যবসাও শেষ। এতে সেল এবং ব্যবসা শুরু। এখানে সফলকামীদের সংখ্যা তুলনামূলক কম। এখানে সফলকামীদের সংখ্যা যথেষ্ট। যেকোন লোক ইচ্ছা করলেই নিজ পেশা ঠিক রেখে চাকরি বা ব্যবসা করতে পারেন না। কিন্তু, যেকোন পেশার লোকই যেকোন সময়ই
নিজ পেশা ঠিক রেখে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করতে পারেন। এ পদ্ধতিতে মানুষ প্রথমে ব্যবসা করতে এসে পুজি হারিয়ে যখনই অভিজ্ঞতা অর্জন করে
তখন আর টাকা থাকেনা। অর্থাৎ করুন পরিণতি হয় বা পথে বসে। কিন্তু নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ পুজি হারিয়ে লাইফ বরবাদ
হবার আশঙ্কা নেই। একটা ফলে কতটা বিচি থাকে তা বলা সম্ভব। কারণ, এটা প্রচলিত পদ্ধতি। কিন্তু, একটা বিচিতে কতটা ফল থাকে তা বলা
সম্ভব নয়। কারণ এটা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং পদ্ধতি।
৮. নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশের সুযোগঃমানুষ জন্মগতভাবেই সামাজিক জীব। সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলার মতো নির্মল ও অনাবিল আনন্দের সৌভাগ্য সবার হয়না। আপনি যখন একজন আদর্শ নেটওউয়ার্কার তখন আপনার অধীনে বিশাল একটি টিম কাজ করবে। একসময় তাদেরকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো গুণাবলী আপনার মধ্যে স্বয়ঙ্গক্রিয়ভাবে গড়ে উঠবে। অনেকসময় আমরা চাদাদিয়ে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনেরসদস্য হয়ে থাকি ইচ্ছা করেই। এ অপূর্ব সুযোগ নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসায় পাচ্ছেন, সাথে সাথে অর্থ উপার্জনের অবারিত সুযোগ। উপরন্তু এখানে অসহায়দেরকে সহযোগিতার বিষয়টি অত্যন্ত প্রবল। কেউ যদি আপনার কাছে কাজ চায় তবে গর্বের সাথে বলতে পারবেন ‘কতহাজার বেকার আছে?’
৯. চাকুরী বা ব্যবসার তুলনায় সন্তোষজনক আয় ধরুন, আপনি কোন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করছেন এবং প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা
বেতন পাচ্ছেন। তাহলে, জানু, ফেব্রু, মার্চ ……………… ডিসেম্বর, প্রতিমাসেই ১০ হাজার টাকা আয় করছেন। কিন্তু কোন প্রবৃদ্ধি হচ্ছেনা বললেই চলে, হলেও তা সমান্তরালভাবে। কিন্তু নেটওয়ার্ক মার্কেটিং সিস্টেমে আপনার আয় হচ্ছে প্রথম মাসে যা, দ্বিতীয় মাসে তার দ্বিগুণ
(বিশেষ ক্ষেত্রে), ৩য় মাসে তার দ্বিগুণ। তাছাড়া, সাধারণ আয়ের পাশাপাশি আয় হওয়ায় আপনার প্রবৃদ্ধির গ্রাফ উঠবে উর্ধমূখী। যেমন,
১০. কাজের ক্ষমতা বৃদ্ধি মনে করুন, আপনি সাধারণ পদ্ধতিতে দিনে ৮ ঘন্টা কাজ করছেন এবং ঘন্টাপ্রতি ১০
টাকার হারে পারিশ্রমিক পাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে আপনার ১ দিনে আয় হবে, ৮×১×১০=৮০ টাকা। কিন্তু, নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ কিছুদিন পরে যখন আপনার অধীনে ১০ জন কাজ করবে, তখন আপনার আয় হবে, ৮×১০×১০=৮০০ টাকা। এখানেইনেটওয়ার্ক মার্কেটিং পদ্ধতির বিশেষত্ব। আবার অংকের সূত্র অনুযায়ী আমরা জানি, ১ জন লোক একটি কাজ করে ৩০ দিনে, সুতরাং ৩০ জন লোক ঐ কাজ করে ১ দিনে। অতএব, এখানে সবাই মিলে টিম বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে অধিক আয় করা সম্ভব। সাধারণ পদ্ধতির মতো আপনাকে সারাজীবন অন্যের জন্য পরিশ্রম করতে হবেনা বরং অন্যে যুক্তিসংগত ভাবে আপনার জন্য পরিশ্রম করবে।
১১. ডুপ্লিকেশন আয় চিত্রের ন্যায় একটি কোম্পানিতে যদি মোট ১০০০ ঘন্টা কাজ হয় তবে নিচের প্রত্যেকেই পায় ৮ ঘন্টার পারিশ্রমিক। অন্যদিকে মালিক একাই পায়৭০/৮০ ভাগ ঘন্টার পারিশ্রমিকের সমান আয়। নিচের কেউই মালিকের সমান আয় কোনদিনও পাবেনা। কিন্তু এমএলএম সিস্টেমে নিচের প্রত্যেকেরই কোন এক সময়ে মালিকের চেয়েও বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
১২. স্বাচ্ছন্দ্য বা অবকাশ যাপন কেউ যদি ৮০০০ টাকা বেতন পায়, তা দিয়ে সংসার চলে কোনমতে। প্রায়ই দেখা যায়, অনাকাংখিত ব্যয় যেমন, দাওয়াতে উপহার, ডাক্তার খরচ ইত্যাদি ব্যয়ের জন্য অনেকসময় ঋণ করতে হয় বাধ্য হয়ে। এভাবে আমরা ঋণের আবর্তে জড়ীয়ে পড়ি, স্বাচ্ছন্দ্যের তো প্রশ্নই আসে না। তাই সাধারণ আয়ের পাশাপাশি এমন একটা ইনকাম সোর্স যদি থাকে, তবে তা দিয়ে আমরা স্বাচ্ছন্দ্য করতে পারি। যেমন, কোথাও বেড়াতে যাওয়া, একটি মোবাইল কেনা, একটি সোফা/টিভি/ফ্রিজ কেনার মত ইচ্ছাগুলো পূরণ করা সম্ভব হয় সহজেই।
কারণ, চাকরি বা ব্যবসার মত সাধারণ ইনকামতো থাকছেই, যোগ হচ্ছে বাড়তি আয়। সুতরাং নেটওয়ার্ক মার্কেটিং সাধারণ মানুষের জীবনে একটা সোনালী আশীর্বাদ।
১৩. চাকুরীর নিশ্চয়তা ধরা যাক, আপনি কোন কোম্পানীতে মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিসাবে কাজ করছেন। সেখানে যদি ৩০/৪০ হাজার টাকা মাসে লাভ দেখাতে পারেন, তবেই আপনাকে বেতন দেবে ৪/৫ হাজাত টাকা। তাছাড়া, পারফর্মেন্স সন্তোষজনক না হলে বা দীর্ঘদিন কোন কারণে অনুপস্থিত থাকলে চাকরিই থাকবে না। (আর দীর্ঘ অনুপস্থিতির পরে যদি চাকরি থাকে, তাহলে ধরে নেওয়া হবে সেখানে আপনার কোন গুরুত্ব নেই অথবা আপনি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ) কিন্তু নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ কর্ম হারাবার আশঙ্কা নেই। স্তান- কাল পাত্র বুঝে ভালো পন্যভিত্তিক কোম্পানি পছন্দ করে আপনার কাঙিত সপ্ন বাস্তবায়নে নেমে পড়ুন।
আমাদের সাথে কাজ করতে ইমেইল করুন: